প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রস্তুতি: বাংলাদেশ ও ব্শ্বিপরিচয়
প্রথম অধ্যায়
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন
১. মুক্তিবাহিনী কখন গঠন করা হয়? মুক্তিবাহিনী কেন গঠন করা হয়? মুক্তিবাহিনীর চারটি কাজ লেখ।
উত্তরঃ ১৯৭১ সালের ১১ই জুলাই মুক্তিবাহিনী গঠন করা হয়।
পাকিস্তানি বাহিনীর মোকাবিলা তথা দেশকে শত্রুমুক্ত ও স্বাধীন করার উদ্দেশ্যে মুক্তিবাহিনী গঠন করা হয়।
মুক্তিবাহিনীর চারটি কাজ হলো-
ক) শত্রুর বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা।
খ) আক্রমণ গ্রুপের সদস্য হিসাবে অস্ত্রগ্রহণ করা।
গ) শত্রুর গতিবিধি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেওয়া।
ঘ) গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে শত্রুর অবস্থানে আক্রমন করা।
২. মুক্তিযুদ্ধ কী? মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল কেন? মুক্তিযুদ্ধের চারটি ফলাফল লেখ।
উত্তরঃ পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্যমূলক আচরণ, শোষণ, নিপীড়ন, নির্যাতন, বর্বর অত্যাচার হতে মুক্তি লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে যে যুদ্ধ হয় তাকে মুক্তিযুদ্ধ বলে।
অথবা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে মুক্তিযুদ্ধ বলে।
পশ্চিম পাকিস্তানিদের অত্যাচার ও নিপীড়ন থেকে বাঁচার জন্য তথা আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে স্বাধীন করার মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধের চারটি ফলাফল:
ক) মুক্তিযুদ্ধের ফলে আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি।
খ) মুক্তিযুদ্ধের ফলে আমরা পেয়েছি নিজস্ব ভূখন্ড।
গ) মুক্তিযুদ্ধের ফলে পাকিস্তানিদের শাসন-শোষণের অবসান ঘটেছে।
ঘ) মুক্তিযুদ্ধের ফলে বিশ্বের বুকে আমরা স্বাধীন জাতি হিসাবে পরিচিতি পেয়েছি।
৩. “অপারেশন সার্চলাইট” কী? এটি সংঘটিত হয়েছিল কেন? মুক্তিযুদ্ধে ‘অপারেশন সার্চলাইটের’ চারটি ফলাফল লেখ।
উত্তরঃ ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরীহ বাঙালির ওপর অতর্কিত আক্রমন করে। এই আক্রমনের নাম দেওয়া হয়েছিল অপারেশন সার্চলাইট।
অপারেশন সার্চলাইট পরিচালিত হয়েছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক এদেশের নিরীহ বাঙালিদের হত্যা করার জন্য।
অপারেশন সার্চলাইট এর চারটি ফলাফল হলো-
ক) এর ফলে লক্ষ লক্ষ নিরীহ মানুষ প্রাণ হারায়।
খ) বাংলা লুটেরাদের হাতে নিঃস্ব হয়ে যায়।
গ) নির্বিচারে অনেক মানুষকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়।
ঘ) এর প্রত্যক্ষ ফলেই বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
৪. ‘মুজিবনগর সরকার’ কী? এ সরকার গঠন করা হয়েছিল কেন? মুজিবনগর সরকার গঠনের চারটি ফলাফল লেখ।
উত্তরঃ মুক্তিযুদ্ধ সঠিকভাবে পরিচালনার করার জন্য গঠিত বাংলাদেশের প্রথম সরকার হলো মুজিবনগর সরকার।
মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা ও দেশ-বিদেশে সমর্থন লাভের জন্য জন্য এই সরকার গঠন করা হয়।
মুজিবনগর সরকার গঠনের চারটি ফলাফল হলো-
ক) মুজিবনগর সরকার গঠনের ফলে মুক্তিযুদ্ধের গতি বৃদ্ধি পায়।
খ) মুক্তিবাহিনী সুসংগঠিতভাবে পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
গ) দেশ-বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গড়ে উঠে।
ঘ) বিদেশি বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রগুলো থেকে অস্ত্র ও অর্থ সংগ্রহ সম্ভব হয়।
৫. মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান অতুলনীয় কেন? মুক্তিযুদ্ধে নারীদের চারটি অবদান লেখ।
উত্তরঃ মুক্তিযুদ্ধে অনেক নারী সরাসরি সম্মুখ যুদ্ধে ও গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তাই তাঁদের অবদান অতুলনীয়।
মুক্তিযুদ্ধে নারীদের চারটি অবদান হলো-
ক) যেসব নারী সরাসরি যুদ্ধে যেতে পারেনি তারা নানাভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছেন।
খ) কেউ কেউ আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছেন।
গ) কেউ কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের বিপদের সময় আশ্রয় ও খাদ্য প্রদান করেছেন।
ঘ) কেউ কেউ ছদ্মবেশে মুক্তিযোদ্ধাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে সাহায্য করেছেন।
৬. বীরশ্রেষ্ঠ কারা? যে কোন পাঁচজন বীরশ্রেষ্ঠের নাম লেখ।
উত্তরঃ যারা মুক্তিযুদ্ধে অসীম সাহসের সঙ্গে যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছেন তারাই বীরশ্রেষ্ঠ।
পাঁচ জন বীরশ্রেষ্ঠের নাম হলো-
ক) ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর।
খ) সিপাহী হামিদুর রহমান।
গ) সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল।
ঘ) মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
ঙ) ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ।
৭. বুদ্ধিজীবী দিবস কবে? বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয় কেন? বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করার তিনটি উপায় লেখ।
উত্তরঃ ১৪ই ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস।
পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের এদেশি সহযোগীদের হাতে নিহত বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণের জন্য বৃদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়।
শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করার তিনটি উপায় হলো-
ক) রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ পুষ্পস্তবক অপর্ণ করে।
খ) আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে।
গ) বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়জনের মাধ্যমে।
৭. মুক্তিবাহিনী কখন গঠন করা হয়? মুক্তিবাহিনী কেন গঠন করা হয়? মুক্তিবাহিনীর চারটি কাজ লেখ।
উত্তরঃ ১৯৭১ সালের ১১ই জুলাই মুক্তিবাহিনী গঠন করা হয়।
পাকিস্তানি বাহিনীর মোকাবিলা তথা দেশকে শত্রুমুক্ত ও স্বাধীন করার উদ্দেশ্যে মুক্তিবাহিনী গঠন করা হয়।
মুক্তিবাহিনীর চারটি কাজ হলো-
ক) শত্রুর বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা।
খ) আক্রমণ গ্রুপের সদস্য হিসাবে অস্ত্রগ্রহণ করা।
গ) শত্রুর গতিবিধি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেওয়া।
ঘ) গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে শত্রুর অবস্থানে আক্রমন করা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন